কবীর চৌধুরী তন্ময়
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নে ভোটের রাতে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে চল্লি;শোর্ধ্ব এক গৃহব;ধূকে দলবেঁধে ধর্ষ;ণের ঘটনায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় বয়ে চলে। গণমাধ্যমগুলোতেও আলোচনা-সমালোচনা দেখার মতো। অন্যদিকে মাত্র ভোটের রাজনীতিতে হেরে যাওয়া বিএনপি ও ড. কামাল হোসেনও নড়েচড়ে বসেন। রাজনৈতিক ইস্যু খুঁজে পেয়ে যান। রাজনৈ;তিক বক্তব্য মাঠে গিয়ে রীতিমত হুঙ্কারে পরিণত হয়।
অন্যদিকে ওই ধর্ষ;ণকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়াতে শুরু হয় গুজব! ধর্ষ;ণের পর ওই নারী;কে হ;ত্যা করা হয়েছে, তার সন্তানকে এতিম করা হয়েছে-এমন বানানো মি;থ্যাচারের পাশাপাশি কবরের পাশে ছোট-ছোট বাচ্চাদের দাঁড়ানো ছবিও ভাই;রাল করে সাধারণ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের চিন্তা-ভাবনাকে নিজেদের পক্ষে নিয়ে যেতে- এক প্রকার ‘ব্ল্যাক;মেইল’ করার ষড়যন্ত্র প্রতীয়মান হয়েছে।
সাধারণ মানুষ ষড়য;ন্ত্রকা;রীদের পাতা;নো ফাঁদে এতটাই পা দিয়েছে, এতটাই বিভ্রা;ন্ত হয়েছে- গ্রহণযোগ্য গণমাধ্যমের সংবাদকেও বিশ্বাস করতে পারছে না। পরিচিত-অপরিচিত অনেকে বিস্তারিত জানার চেষ্টায় ব্যক্তিগতভাবে ফোন করেছে সত্য, কিন্তু আমার কথায় খুব একটা বিশ্বাস করতে পারেনি তাদের হ্যাঁ-হুতে অনুমান করতে পেরেছি।
২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সময় ৮ অক্টোবর সিরাজগঞ্জে চারদলীয় জোট সরকার বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের দ্বারা নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরী পূর্ণিমা গণধর্ষণের ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়- এদেশে অনেক কিছু হওয়া সম্ভব! ব্যক্তিস্বার্থ আর রাজনৈতিক স্বার্থ মিলেমিশে কখন কোথায় কী হয়ে যায়- এটি অগ্রীম অনুমান করাও কঠিন।
তাই গতবছর (৩ জানুয়ারি, ২০১৯) আমরা তিন সদস্যের একটি দল সুব;র্ণচরে গৃহবধূ পারুলের ধর্ষ;ণের ঘটনার বাস্তবতা দেখাশোনার জন্য নোয়াখালীর সদর হাসপাতালে ছুটে যাই। চিকিৎসা প্রদানকারী ডাক্তারের সাথে আলোচনা করে জানতে পারি, ধর্ষণের শিকার পারুল দিব্যি জীবিত এবং অনেকটাই সুস্থ। শুধু তাই নয়, পারুলের চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার বহনও করছে সরকার। উন্নত চিকিৎসার জন্য পারুলকে ঢাকা কিংবা বিদেশে নিতে হবে- এই গুজবকেও উড়িয়ে দিয়ে ডাক্তার জানালেন এখানেই তার ভালো চিকিৎসা চলছে এবং সে সুস্থই আছেন।
আমরা পারুলের কেবিনে। পারুলের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে আপলোড করার সাথে সাথে জাগো নিউজের সহকারী বার্তা সম্পাদক (কান্ট্রি ইনচার্জ) সাংবাদিক মাহাবুর আলম সোহাগসহ আরও অনেকে ফোন করে জানালেন, ধর্ষণের শিকার নারীর মুখমণ্ডল ব্লার করে দেয়া উচিত, তার পরিচয় গোপন রাখা উচিত। ভালো করতে গিয়ে বরং খারা;প না হয়ে যায়। আমার মোবাইলে ব্লার করা যায় না- এটি সোহাগকে বলায় সে ফেসবুক থেকে ছবিগুলো নিয়ে ওই নারীর মুখমণ্ডল ঢেকে ইনবক্সে আবারও পাঠালে আমি এডিটিংয়ের মাধ্যমে রি-পোস্ট করি যা এর আগেই কয়েকশ শেয়ার হয়ে যায়। মানুষ প্রকৃত সত্য জানতে পারে। পরে একাত্তর টিভির বার্তাপ্রধান শাকিল আহমেদ ফোন করে জানালেন, পুরো বিষয়টি মিডিয়াতে যেন তুলে ধরি এবং তিনি একাত্তর টিভির প্রতিনিধির মাধ্যমে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে আমাদের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করার সহযোগিতা করেন। গণমাধ্যমেও আমাদের উপস্থিতি গুরুত্ব পায়, সংবাদ প্রচার-প্রকাশ হয়। জাগো নিউজ সংবাদ প্রকাশ করে নোয়াখালীর সেই নারীর পাশে বোয়াফ শিরোনাম দিয়ে।
আমাদের টিমে জাতীয় মহিলা সংস্থার পরিচালনা কমিটির সদস্য ইয়াদিয়া জামানও ছিলেন। তিনি পারুলের সাথে ঘটে যাওয়া বর্বরতার চুলছেড়া বিশ্লেষণ শুনেছেন। পরে সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নে ওই নারীর বাড়িতে গিয়েছি, প্রতিবেশীদের নিয়ে কোথায় কী হয়েছে, ঘর থেকে পুকুরপাড়, ঘরের টিনে দা বা রামদা দিয়ে কোপানোর দাগের ছবি-ভিডিও ধারণ করেছি, পারুলের মেয়ের সাথে নারীনেত্রী অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান একান্তভাবে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত সত্যতা জানার চেষ্টা করেছেন।
পরে চরজব্বার থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তার (ওসি) সাথে দেখা করতে গিয়ে তাকে না পেয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে চলে আসি নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফের অফিসে। ধর্ষণের ঘটনা, পুলিশের সর্বশেষ কার্যক্রম, আসামিদের গ্রেফতার নিয়ে এক কার্যকরী আলোচনায় প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত আমাদের কাছে মনে হয়েছে, প্রকৃত অপরাধীর বিচারের চেয়ে রাজনৈতিক রঙ ছিঁটানো, মিথ্যাচার-গুজব রটানোটাই যেন একশ্রেণির কাছে মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে বাইরের কিংবা অপরাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে সরাসরি যুক্ত হয়েছেন স্বয়ং ধর্ষিতার স্বামীও।
পারুল আমাদের কাছে প্রকৃত সত্য বলার কারণে স্বামী হাসপাতালেই শারীকিভাবে তাকে আঘাত করে হাতের মোবাইল পর্যন্ত ভেঙে ফেলেছে- ঢাকায় ফেরত আসার আগে পারুলকে আবারও হাসপাতালে দেখতে গেলে এমনটাই পারুল আমাদের জানিয়েছেন। পরে পারুলের বড় ছেলেকে সাথে নিয়ে এসে কমদামি একটা মোবাইল সেট কিনে দিয়েছেন নারীনেত্রী অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান।
সুবর্ণচরের ঘটনার চেয়ে রটনা কতটা ছড়িয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কীভাবে এডিট করা ছবি-ভিডিও ভাইরাল হয়েছে- এটি ধর্ষ;ণের শিকার পারুলের সাথে দেখা-কথা বলার পরেই জেনেছি।
এদিকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনও আমরা দেখেছি। যৌক্তিক এবং অতিপ্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি আন্দোলনকে কীভাবে গুজব আর অপপ্রচারের মাধ্যমে নষ্ট করতে হয়, কীভাবে আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে হয়, আন্দোলনের গতিপথ কীভাবে সরকার পতনের দিকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার কৌশল নির্ধারণ করা হয়- এটিও এখন আর অজানা নয়।
সে সময় স্বাধীনতাবি;রোধী রাজা;কার জা;মায়াত-শি;বিরের সাথে যুক্ত হয়েছিল তাদের ছাত্রীসংস্থার নারীগুলোও। কী ভয়ঙ্কর;ভাবে তাদের বানানো ভিডিও চিত্রে উপস্থাপন করেছিল ষড়য;ন্ত্রের মিথ্যা;চার-গু;জব! আন্দো;লনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে সাধারণ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টগুলোকেও মানসিকভাবে ব্ল্যাক;মেইল করে বিভ্রা;ন্তের মাধ্যমে রাস্তায় নামিয়ে রীতিমত গৃহযু;দ্ধের ষড়;যন্ত্র করেছিল। সাথে যুক্ত হয়েছিল একশ্রেণির সাংবাদিক, তথাকথিত সেলিব্রিটি, অভিনয়শিল্পীও। গুজব ছড়ানো হয়- আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের ভেতর কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে রাখা হয়েছে, অফিসে আন্দোলনরত চারজন শিক্ষার্থীকে হ;;ত্যা করা হয়েছে, অন্য চারজন আন্দোলনকারী ছাত্রীদের ধ;র্ষণ করার পর লেকের পানিতে ভাসিয়ে দেয়ার গুজ;ব-মিথ্যা;চারের মাধ্যমেই নিরাপদ সড়কের যৌক্তিক দাবির আন্দোলনের কবর রচনা করা হয়।
বছরের (২০২০) শুরুতেও ধর্ষ;ণ, ধর্ষ;ণকা;ণ্ড নিয়ে রীতিমতো সবাইকে নড়েচড়ে বসতে হয়েছে। আমরা লেখালেখির পাশাপাশি মাঠেও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শা;স্তির দাবিতে দাঁড়িয়েছি। আলোচনা সভাগুলোতে ধর্ষ;ণের বিরু;দ্ধে জনমত এবং জনসচেতনতা সৃষ্টির পক্ষে আমাদের মতামত তুলে ধরেছি।
তখন খুব একটা গুজব, অপপ্রচার না হলেও সাম্প্রতিক সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্তৃক ধ;র্ষণ, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহব;ধূকে বিব;স্ত্র করার ভাই;রা;লকৃত ভিডিও নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দুই সহযোগীর বিরু;দ্ধে ধর্ষ;ণের অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর পরপর মামলা, সংবাদ সম্মেলন করে পুরো বিষয়টি জাতির কাছে সত্য তুলে ধরার কারণে উল্টো ওই ছাত্রীকে ‘পতি;তা’ বলে ‘শ্লীল;তা;হা;নি’ করতে স্লো;গান দিতে দেখেছি! ধর্ষ;কের বিচার নয়, বরং ধ;র্ষক রক্ষার কমিটি করে ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিয়ে যেতে রাস্তায়ও একশ্রেণির মানুষের আন্দোলন হয়েছে! শুধু তাই নয়, ভিপি নুরুল হক নুরের দুই সহযোগী ওই ছাত্রীকে নাকি নানাভাবে হয়রানিও করা হচ্ছে, হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে সংবাদকর্মীদের সামনে অভিযোগগুলো তুলে ধরেছেন ধর্ষ;ণের শিকার ওই ছাত্রী!
কিন্তু দুঃখ;জনক হলেও সত্য, রাষ্ট্রয;ন্ত্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ প্রশাসন সিলেট এমসি কলেজ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ধর্ষকদের দ্রু;ততার সঙ্গে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও কোনো এক অজানা কারণে ভিপি নুরুল হক নুরের দুই সহযোগী ধর্ষকদের গ্রে;ফ;তার করেনি, করছে না (এই লেখার আগ পর্যন্ত)! এটি ধর্ষ;ণরো;ধ ও ধর্ষ;কের বিরু;দ্ধে ন্যা;য়বিচারের পরিপন্থী ভূমিকা। যার সুযোগ পেয়ে ধর্ষকদের রক্ষার্থে এখানেও শুরু হয়েছে গুজব। ওই ছাত্রীর চরিত্রহনন করতে একদল মাঠে নেমে পড়েছে, আরেকদল সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার ভাইরাল করছে। ধর্ষি;তাকে আত্ম;হ;ত্যা;র দিকে ঠেলে দিচ্ছে যার দায়ভার রাষ্ট্রযন্ত্র ও রাষ্ট্র এড়াতে পারে না, পারবে না।
ধর্ষ;কের পরিচয় ‘ধর্ষ;ক’ যা সমাজ-রাষ্ট্রের ঘৃণীত অপরাধী। সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে নববধূ, সাভারে ও চট্টগ্রামে দুই তরুণীসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিভাগে পড়া এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের সহযো;দ্ধা ওই ছাত্রীর ‘ধর্ষ;;ক;দের’ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রযন্ত্র পু;লিশ প্রশাসনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে সরকারের মাধ্যমে পুলি;শ;কে বাধ্য করার আন্দোলন-সময়োপযোগী এবং সার্বজনীন হতে হবে।
কিন্তু ধর্ষ;কের সর্বো;চ্চ বিচা;রের দাবিতে সাম্প্রতিক যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে- এটিও গুজ;ব-মি;থ্যাচার আর দলীয়-ব্যক্তিস্বার্থের মোড়কে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। কতিপয় আন্দোলনকারীর প্রতিবাদের ভাষা, তাদের প্রদর্শিত প্লে-কার্ডের স্লোগানই প্রতীয়মান হয়- ধর্ষ;কের কঠোর বিচার নয় বরং ধর্ষিতার র;ক্তা;;;ক্ত শাড়ীর আঁচল ধরে অবৈ;ধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার ষড়যন্ত্রে উন্মাদ!
সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগত আঘাত, মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করতে ধর্ষিতা নারীদের বীরাঙ্গনা খেতাবের দাবি এবং সর্বোপরি ‘শেখ হাসিনা তুই গদি ছাড়’ প্রতিবাদের অশ্লীলতায় প্রতীয়মান হয়, ধর্ষকের কঠোর বিচার নয় বরং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের আন্দোলন শুরু করেছে! গুজব-মিথ্যাচারের কারণে ধর্ষকের বিচারের দাবির আন্দোলনটিও আজ বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।
আর এভাবেই নিরাপদ সড়কের দাবির আন্দোলন থেকে ধর্ষণের বিচারের দাবিগুলোও একটা সময় মূলস্রোত থেকে ছিটকে যায়, হারিয়ে ফেলে গতিপথ। একে একে বেরিয়ে আসে ষড়যন্ত্রের নীলনকশার প্রণয়নপত্র! থমকে যায় মানুষের মৌলিক অধিকারের আন্দোলন, ক্লান্ত হয়ে শান্ত হয়ে পড়ে মূল প্রতিবাদের ভাষা!
আমি মনে করি, প্রতিটি অপরা;ধের ঔদ্ধত্য-সাহস আর শক্তির উৎস আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। কার কী পরিচয়, কে কত বড় ক্ষমতাবান, কে কত বড় অপরাধী- এগুলো বিবেচনা না করে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। প্রতিবাদের ভাষা, আন্দোলনের ধরন এবং প্রকৃত উদ্দেশ্য নির্ণয় করেই আন্দোলন করতে হবে। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় অপরাধের শা;স্তি নিশ্চিত করা, তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রতিবাদ-প্রতি;রোধের মাধ্যমে অপরা;ধ-অপ;রাধীর শক্তির উৎসকেও নির্মূল করতে হলে আমাদের সার্বজনীন এবং গুজবহীন আন্দোলন গড়ে তোলা এবং আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততার বি;কল্প নেই।
লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)